Tuesday, February 14, 2012

অনলাইনে আয়

এখানে সাইন আপ করলে অনেক সুবিধা পাবেন। যেমন, মোবাইলে, ব্রাংক একাউবটে ট্রান্সফার

অনলাইনে বইমেলা

বইমেলা শুরু হয়ে গেছে। এদিকে অনলাইনেও শুরু হলো বই বেচাকেনার নতুন আয়োজন।বইপ্রেমীদের সুবিধার জন্য রকমারি ডট কম (www.rokomari.com) নামের এমন একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে।
পরীক্ষামূলক পর্বপেরিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি অন্যরকম গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান। গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অনেকেরই নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বই কিনতে যেতে পারেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখে আমরা ঘরেই বই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। রকমারি ডট কম ওয়েবসাইটি তৈরি করার আগে আমরা সব শ্রেণীর পাঠকের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করেছি।’
এই ওয়েবসাইটের মূল সুবিধা হলো অনলাইনে বইয়ের চাহিদা জানালে বই ক্রেতার ঠিকানায় চলে আসবে।বই হাতে পেয়ে তবেই দাম শোধ করতে পারবেন ক্রেতা। আর অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগেও দাম দেওয়া যাবে।
সাইটটিতে গেলে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের বইটি নির্বাচন করে এর দাম জেনে নিতে পারবেন। এখানে পছন্দের বই নির্বাচন করে ০১৮৪১১১৫১১৫ এই নম্বরে ফোন করে বইয়ের ফরমায়েশ দিলেও বই গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। বই কেনার ক্ষেত্রে একটি সুবিধার কথাও জানালেন মাহমুদুল হাসান, গ্রাহক যত বইয়ের ফরমায়েশই দিক না কেন, তার জন্য প্রতিবার গ্রাহকের মাত্র ৩০ টাকা খরচ হবে। প্রতিটি বইয়ের প্রকৃত মূল্যের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ও পাওয়া যাবে এখান থেকে বই কিনলে।
প্রত্যেক লেখকের প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ের তালিকা থাকবে এখানে। নতুন কোন কোন বই বাজারে এসেছে, তা-ও জানা যাবে এখান থেকে। বিভিন্ন বছরের বইমেলায় কোন কোন বই নতুন প্রকাশিত হয়েছে, এখান থেকে তা-ও জানা যাবে। প্রতিদিনই এই ওয়েবসাইটটি হালনাগাদ করা হচ্ছে।
সহজে বই কেনা ছাড়াও নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে। ধরুন, আপনি যে ধরনের বই খুঁজছেন তার একটি নির্বাচন করলেন। এরপর এ-সংক্রান্ত অন্য বইগুলো আপনা আপনিই ওয়েবসাইটে ভাসবে, যা থেকে আপনি সহজে কাঙ্ক্ষিত বইটি পেয়ে যাবেন।
এই ওয়েবসাইটে চাইলে একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিতে পারেন আপনি। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্যবহারকারীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ করতে পারবেন।
এই প্রোফাইলের মাধ্যমে আপনার পছন্দের বইয়ের তালিকা তৈরি করতে পারবেন। আবার অন্য ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলে গিয়ে তাঁর পছন্দের বইয়ের তালিকাও দেখে নিতে পারবেন।
নিজেদের বিভিন্ন মতামত নিয়েও এখানে আলোচনা করা যাবে। বইটি আপনাকে কেমন লাগল, সে অনুযায়ী ওই বইয়ে গিয়ে আপনি মূল্যায়ন নম্বরও দিতে পারবেন।
দেশের যেসব জায়গায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে, সেখানকার গ্রাহকেরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বই কিনতে পারবেন।



সূত্রঃ প্রথম আলো ফেব্রু-২০১২

গুগলের প্রয়োজনীয়তা

অফিস বলেন আর ব্যবসা বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা ছাড়া এখন শুধু পিছিয়েই পড়তে হবে।তথ্য খোঁজার বিশ্বসেরা ওয়েবসাইট (সার্চ ইঞ্জিন) গুগলের জিমেইল, জিটক, গুগল প্লাস ইত্যাদি সেবার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। যোগাযোগের জন্য এসব তো আছেই, পাশাপাশি গুগলের আরও কিছু সেবা আছে, যেগুলো দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যবসায়িক কাজের অনেকটাই সমাধান করা যায়।অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নিত্যদিনের জরুরি কাজগুলো হয়ে ওঠে আরও বেশিসাবলীল।
গুগলের নানা ধরনের সেবা বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ আছে অনেক দিন থেকেই। ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিনা মূল্যের ই-মেইল সেবা জিমেইল, লেখালেখির জন্য গুগল ডকস, গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল প্রোফাইল, গুগল প্লাস ইত্যাদি সহজেই ব্যবহার করা যায়।
সুবিধা পেতে যা যা লাগবে: গুগলের এ সুবিধা পেতে নিজের প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট নিবন্ধিত ডোমেইন বা ওয়েব ঠিকানা লাগবে। ডোমেইনের অধীনে গুগলের সেবাগুলো ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে গুগলের এসব সেবা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে এবং বিনা মূল্যেই এগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে আরও বেশিসুবিধার জন্য খরচাপাতি করতে হবে।
জিমেইলের সব সুবিধা: সাধারণত নিজস্ব ডোমেইনে ই-মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজস্ব সার্ভার ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। তবে এসব ক্ষেত্রে সহজ উপায় রয়েছে গুগলের। গুগলের জিমেইল ইনবক্সটি ব্যবহার করা যায়। এতে বর্তমানে গুগলের পক্ষ থেকে ১০টি ই-মেইল ঠিকানা খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকানাটা হবে yourname@yourcompanyname.com, কিন্তু ব্যবহার করা যাবে জিমেইল ইনবক্স। পাওয়া যাবে গুগল ডক, গুগল ক্যালেন্ডার, চ্যাট করা, গুগলের জি-টক মেসেঞ্জার ব্যবহারের সুবিধা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি রয়েছে জিমেইলে টাস্ক ব্যবহারের সুবিধা। যেকোনো ই-মেইলকে সরাসরি টাস্ক হিসেবেও চিহ্নিত করে রাখা সম্ভব। এতে করে কাজের তালিকাটি সময়মতো পেয়ে যাবেন আপনি।রয়েছে গুগল অ্যাপস মার্কেটপ্লেস থেকে বিনা মূল্যে অসংখ্য প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ। বর্তমানে জিমেইলের মতোই বিনা মূল্যে সাত গিগাবাইট জায়গা পাওয়া যাবে এ ই-মেইল সুবিধায়। যদি এর বেশি জায়গা এবং ই-মেইল ঠিকানার প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে কেনা যাবে সেবাটি। জিমেইলের অন্যান্য সুবিধার মতো ফরোয়ার্ডিং, ল্যাবস, অ্যাকাউন্টস সেটিংসসহ সবকিছুই রয়েছে। ই-মেইল না খুলে শুধু চ্যাটের জন্য গুগল টক ব্যবহার করা যাবে। নানা সুবিধার মধ্যে বড় একটি সুবিধা হচ্ছে এর লগ-ইন ব্যবস্থা। www.gmail.com ঠিকানায় গিয়ে পুরো ঠিকানা (yourname@yourcompanyname.com) লিখে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করা যাবে ই-মেইলে। রয়েছে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য গ্রুপসুবিধা। এতে আন্তযোগাযোগ করা যাবে খুব সহজে।
গুগল ডকস: সাধারণত অফিস-সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড ফাইলের ব্যবহার হয় খুব বেশি। ওয়ার্ডে কাজ করার জন্য গুগল ডকসের রয়েছে নানা সুবিধা, বিশেষ করে ব্যবসায়িক কিংবা অফিসের কাজে এর ব্যবহার দারুণ। কোনো বিষয় লিখে খুব সহজে ই-মেইলের মাধ্যমে সেটি আদান-প্রদান করা যায় সবার সঙ্গে।আবার একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় বসে গুগল ডকসে করতে পারেন।নিজেদের চিন্তাভাবনার বিনিময়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন ডকস দিয়ে। যার যা প্রয়োজন, তিনি কোনো পরিবর্তন ছাড়া সেটা দেখতে পারবেন।প্রয়োজনে প্রিন্টও নেওয়া যাবে।
গুগলের এ সেবা নিয়মিত ব্যবহার করছেন ঢাকার ব্যবসায়ী জুয়েল হাসান।তিনি জানান, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের, বিশেষ করে ব্যবস্থাপকদের জন্য অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট গুগল ডকসে রেখে দিই, যাতে করে প্রয়োজন সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
এ কার্যক্রমটি সম্পূর্ণভাবে অ্যাডমিন নিয়ন্ত্রণকরতে পারেন।প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তি ইচ্ছা করলে এই জায়াগায় কারও প্রবেশাধিকার (অ্যাকসেস) দিতে পারবেন। আবার ইচ্ছা করলে বাদ দিয়েও দিতে পারবেন।’
গুগল ডকসে নিয়মিতভাবে কাজ করা অ্যাকটিভ স্টিচ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কাজে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।এসব ক্ষেত্রে সভা ডেকে সবাইকে নিয়ে বসলে অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই একই সময়ে গুগল ডকসে বসে সবাই মিলে নিয়ে ফেলি সিদ্ধান্তগুলো।’ তবে শুধু ডকুমেন্ট লেখালেখির কাজই নয়, রয়েছে উপস্থাপনা তৈরি (প্রেজেন্টেশন), হিসাবনিকাশ করা (স্প্রেডশিট), ফরম, ড্রয়িং ইত্যাদি সুবিধাও।
গুগল ক্যালেন্ডার: অনলাইনে জনপ্রিয় আরেকটি সেবা হচ্ছে গুগল ক্যালেন্ডার। অনলাইনে থাকায় খুব সহজে বিভিন্ন ইভেন্টের তালিকা করার পাশাপাশি সভা বা অন্যান্য কাজের হিসাব রাখা যায় সহজে। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত সবাই ওই ইভেন্টস কিংবা সভার বিষয়টি জানতে পারবেন। গুগল ডকসের মতো গুগল ক্যালেন্ডারটিও সরাসরি একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় দেখা যাবে। নিজস্ব শেয়ারিং সুবিধা থাকায় এর তথ্যগুলো কারা কারা দেখবে, কারা পরিবর্তন করতে পারবে, বিস্তারিত সবাই দেখবে কি না, এসব তথ্যও পরিবর্তন করে প্রয়োজন অনুসারে ঠিক করা যাবে। এ ছাড়া নতুন ইভেন্টসের ক্ষেত্রে আলাদা ক্যালেন্ডার তৈরির পাশাপাশি দিন, সপ্তাহ, মাস অনুযায়ী সাজানো যাবে তথ্য। যখনই প্রয়োজন করা যাবে প্রিন্ট এবং করা যাবে শেয়ার। নিয়মিতভাবে গুগলের এসব সেবা ব্যবহার করেন অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান। বললেন, ‘গুগলের নানা সেবার মধ্যে গুগল ক্যালেন্ডার বেশ কাজের। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের জন্য আলাদা করে গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে সহজে কাজের বর্তমান অবস্থাটা বোঝা যায়।’
ইউটিউব: গুগলের বড় একটি সেবা ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব। ইউটিউবে প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা চ্যানেল খুলেও ভিডিও রাখা যায়।
গুগল প্লাস: গুগলের সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুগল প্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা। নিজস্ব ডোমেইনে জিমেইলের ইনবক্স ব্যবহার করলে এতে খোলা যাবে গুগল প্লাসের অ্যাকাউন্টও। এতে ব্যবসায়িক ডোমেইনের আওতায় নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের পাশাপাশি করা যাবে অন্যান্য কাজও।
গুগল কনট্যাক্ট: প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ই-মেইল ঠিকানা সংরক্ষণের জন্য দারুণ একটি সেবা গুগল কনট্যাক্ট। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ই-মেইল ঠিকানাগুলো বিভিন্ন গ্রুপ অনুযায়ী করা, নতুন গ্রুপ তৈরি ইত্যাদি করা যাবে। সংরক্ষিত ঠিকানাগুলো একটি নির্দিষ্ট ওয়েবলিংকেও দেখা যাবে। এ সুবিধাগুলোও পাওয়া যাবে নিজস্ব ডোমেইনের আওতায় থাকা গুগল কনট্যাক্টে।
মোবাইল অ্যাপস: গুগলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রয়েছে নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন।এ অ্যাপসটি নিজস্ব ডোমেইনের মধ্যেও পাওয়া যাবে।
গুগল সাইট: গুগলের সাইট-সুবিধা ব্যবহার করেও নানা ধরনের কাজ করা সম্ভব। একটি পূর্ণাঙ্গ সাইট তৈরি করে এটি দিয়েই সভা বা দলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম ইত্যাদি করা যাবে। বিনা মূল্যে টেম্পলেট দিয়ে সাইটটি তৈরি করে এতে যুক্ত করা যাবে ইভেন্টসের খবর, সাধারণ তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব খবর, বিভাগীয় খবর ইত্যাদি।
রয়েছে সীমাবদ্ধতাও: ‘গুগলের এসব সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন খরচ বাঁচবে, তেমনি সময়ও বাঁচবে প্রতিষ্ঠানের। আর কাজ হয়ে যাবে সহজে। তবে বড় কোনো ধরনের ব্যবসা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এ সেবাগুলো তেমন উপযোগী নয়।’ জানালেন বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী জাহিদুল হাসান।
তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গুগলের এ সেবাগুলো শুরুতে যথেষ্টই সহায়তা করবে।




সূত্রঃ প্রথম আলো- ফেব্রু-২০১২
বাংলাদেশ ও ভারত এর সাইবার যুদ্ধের খবর এখুন সবার মুখে মুখে । কিন্তু এই দুখের বিষয় হল এই যুদ্ধ নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে । যেমন বলা হচ্ছে “বাংলাদেশী হ্যাকার রা ভারতের ২০০০০+ ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে “এখুন পর্যন্ত কতগুল সাইট হ্যাক হইসে তার সঠিক তথ্য নাই, যদিও বাংলাদেশী হ্যাকার রা প্রচুর পরিমান ভারতীও ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে কিন্তু টা কখুনই ২০০০০ নয় । ধারনা করা হচ্ছে এর সংখ্যা ৫০০০ হতে পারে ,যদি DOSS অ্যাটাক গুল সহ হিসাব করা হয় তাহলে এর সংখ্যা হইত ৮০০০ হবে ।
পাশাপাশি এক গ্রুপ এর হ্যাক করা ওয়েবসাইট গুল অন্য গ্রুপ নিজেদের হ্যাক করা বলে চালিয়ে দিচ্ছে ফলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে । যা সাধারন মানুষ কে বিভ্রান্ত করছে । আমরা আরও জেনেছি যে অনেকে বলছে যে বিখ্যাত হ্যাকার গ্রুপ আননিমাস নাকি বাংলাদেশী হ্যাকারদের সাথে কাজ করছে কিন্তু আখুন পর্যন্ত আননিমাস এর কোন গুরুত্বপূর্ণ হ্যাকার এই বিষয়ে নিসচিত করে নাই । একজন আননিমাস সদস্য সমর্থন দেওয়া আর পুরো গ্রুপ সমর্থন দেওয়া এক না । একি ঘটনা রাশিয়া ভারত এর সথে যোগ দিছে এই সংবাদ এর ক্ষেত্রেও ।
হ্যাঁ তবে সত্যি যে পাকিস্থানি হ্যাকার Shadow008 এবং H4x0rl1f3 বাংলাদেশ সাইবার আর্মি কে সমর্থন করসছে । ইন্দোনেশিয়া ও চাইনার হ্যাকার রাও বাংলাদেশ এর এই যুদ্ধ কে সমর্থন করছে ।
সংবাদ মাদ্ধম গুলো কে সংবাদ পরিবেশন এর আগে তার সত্ততা যাচাই করে তা প্রকাশ করার জন্য অনুরধ করা যাচ্ছে । মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন এর ফলে জনসাধারণ এর মনে এই যুদ্ধ নিয়ে সন্দেহ তইরী হবে । যা হচ্ছে না তা খুব ঘটা করে পরিবেশন করা আমাদের কার জন্নেই ভাল ফল বয়ে আনবে না ।
তাই সঠিক প্রমান ছাড়া কোন সংবাদ পরিবেশন না করতে সবাই কে অনুরধ করা যাচ্ছে ।
বাংলাদেশ এর সবথেকে বর এবং জনপ্রিও হাকার গ্রুপ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি যারা বাংলাদেশ এর সাইবার নিরাপত্তা দিতে নিরলস পরিস্রম করে যাচ্ছে তারা এই যুদ্ধ নিয়ে একটি ভিডিও বের করেছেয়
http://www.youtube.com/watch?v=O0pNpP2hjBo

এই যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট গুলকে কিভাবে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করা যাই তা জানাতে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ইউটিউব এ একটি চ্যানেল চালু করেছে
http://www.youtube.com/user/BDCyberArmy

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি তে যোগ দিন
গ্রুপ - http://www.facebook.com/groups/bdcyberarmy/
Page- http://www.facebook.com/BDCyberArmy
DDoS team- http://facebook.com/BDCyberArmy.Ddos
ব্লগ লিকেছেন zihan rgt of TSR
বাংলাই অনুবাদ ঃ সাঈদ হামদুন
http://www.security-ray.com/2012/02/cyber-war-between-bangladesh-and-india.html






-সংগ্রিহীত

হ্যাকিং বিষয়ে অজানা তথ্য

অনেকেই হয়তো ভাবছেন এই সাইবার যুদ্ধ মানে শুধু পাল্টাপাল্টি হ্যাকিং ,কিন্তু ব্যাপারটা আসলে ঠিক সেইরকম না । একটা সাইবার অ্যাটাক প্রতিপক্ষের ভয়ংকর ক্ষতি করতে সক্ষম । আসুন তার কিছুটা জানিঃ

→ Titan Rain::

Titan Rain মূলত একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর কোড নেম , যেটা কিনা FBI কর্তৃক দেয়া। এই গোষ্ঠী আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সংস্থা যেমন NASA , US Military , Lockheed Martin (পৃথিবীর সবথেকে বড় অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ) তে সাইবার হামলা চালিয়েছিলো । হ্যাকিং ইতিহাসে এই হামলাটাকেই সবথেকে ভয়ংকর এবং শক্তিশালী হামলা হিসেবে ধরা হয় । এই আক্রমণের মাধ্যমে অনেক গুরুত্ব তথ্য চুরি হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় , একই সাথে কিছু ব্যাকডোর তৈরি করে রেখে যায় ,যাতে পরবর্তী আক্রমণগুলো সহজ হয় । কেউ জানেনা ঠিক কবে থেকে এই আক্রমণ শুরু হয়েছিলো , তবে এই আক্রমণ দৃষ্টিগোচর হয় ২০০৪ সালে । এখনো কেউ জানেনা ঠিক কোথা থেকে বা কারা এই আক্রমণের পিছনে ছিলও , তবে ধারনা করা এটা চাইনিজদের কাজ।

→ Mafia Boy::

Michael Calce নামের এই হ্যাকার (যার হ্যাকিং কোড নেম mafiaboy ) ২০০০ সালের তৎকালীন বিশ্বের সবথেকে বড় সার্চ ইঞ্জিন yahoo হ্যাক করে, একই সাথে amzon , ebay ,CNN হ্যাক করে । বিশেষজ্ঞদের মতে এই আক্রমনের ফলে ক্ষতির পরিমান ছিলো প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার। যদিও এই আক্রমনের জন্য হ্যাকারকে খুব বেশী শাস্তি পেতে হয়নি , মাত্র ৮ মাসের জেল , সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু বিধি নিষেধ।

→ Sony Play Station Network::

এই আক্রমনের মাধ্যমে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন প্লে স্টেশন ইউজারের আইডি ,পাসওয়ার্ড্‌ এমনকি তাদের ক্রেডিট কার্ড ও হ্যাক হয়েছিলো । ক্ষতির পরিমান প্রায় ১-২ বিলিয়ন ডলার।

→ Morris Worm ::

Robert Tappan Morris নামের এক প্রোগ্রামার , সমস্ত ইন্টারনেটে ডাটার পরিমান হিসাব করার জন্য একটা প্রোগ্রাম তৈরী করতে গিয়ে ভুলক্রমে এই ভাইরাসের তৈরী করে , যা কিনা খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে । এবং বিশ্বের প্রায় 6000 কম্পিউটার পুরোপুরি নস্ট করে ফেলে। এই অপরাধে তার তিন বছরের জেল হয় , যেটা ছিলো সাইবার অপরাধের জন্য সর্বপ্রথম শাস্তির ঘটনা।

→ Mydoom Virus::

সর্বপ্রথম ২০০৪ সালে দেখা যায় , যেটা কিনা এখন পর্যন্ত ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে । এর স্রস্টাকে সেটা এখনো রহস্য । তবে এই ভাইরাসবহন কারী প্রথম মেইল এসেছিলো রাশিয়া থেকে।

→ The Original Logic Bomb::

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই সবথেকে ভয়ংকর সাইবার হামলা। কোন মিসাইল , বিমান হামলা , বা বিস্ফোরক ছাড়াই একটি সাইবেরিয়ান গ্যাস পাইপলাইন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিলো । CIA এমন কিছু কোড পাঠায় যেটা সেই গ্যাস পাইপলাইনের সিস্টেমকে সম্পূর্ণ উলট পালট করে দেয় , এবং পুরো সিস্টেম বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার সময়কাল ১৯৮২ ।

এখন থেকে ব্লগ হবে বাংলা ভাষায়

এই সাইট্টি এখন থেকে পোস্তিং হবে বাংলায়